
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যর্থ হলে অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে- রিজওয়ানা
- আপলোড সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০২:৩৬:২৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০২:৩৬:২৫ অপরাহ্ন


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একতাবদ্ধভাবে কাজ করা জরুরি। গতকাল বুধবার পরিবেশ অধিদফতরের আগারগাঁও কার্যালয়ে ‘প্যারিস চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ বাস্তবায়ন বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এই সংকট আমাদের ভবিষ্যৎ আকাক্সক্ষা পূরণে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বাজারভিত্তিক সমাধানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্বন বাণিজ্যের মাধ্যমে নির্গমন কমানোর সুযোগ থাকলেও তা কার্যকর করতে সুশাসন ও দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (সিডিএম) প্রকল্পগুলো জ্বালানি খাতে গ্যাস নির্গমন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
তিনি বায়ুদূষণের প্রভাব বিশেষত গ্রামীণ নারীদের ওপর যারা অনুন্নত চুলা ব্যবহার করেন তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সামান্য বিনিয়োগে বায়ুর মান উন্নয়ন ও জীবন রক্ষা করা সম্ভব। সরকারের লক্ষ্য জীবন রক্ষায় বিনিয়োগ করা, বিলাসবহুল অবকাঠামো নির্মাণ নয়।
জলবায়ু ন্যায্যতা প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি অবশ্যই নির্গমন কমানোর ওপর কেন্দ্রিত হওয়া উচিত। প্যারিস চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ ও ৬.৪ বিশ্বব্যাপী কার্বন বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করলেও এটি ন্যায্য দায়িত্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বন রক্ষা ও উপকূলীয় অঞ্চল সবুজায়নে অগ্রগামী। এর মাধ্যমে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা নয়। বৈশ্বিক কার্বন বাজারেও অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তবে জলবায়ু ন্যায্যতা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যা ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয়েছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সেতোরু আইইনো, দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রেড প্রতিনিধি সামসু কিমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি বক্তৃতা করেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ